Wednesday, September 16, 2009

সাধারনী

ভিতরে যে উঁকিঝুকি
অন্য সে মুখ
শুরু-শেষ দেখা যায়না
দস্তুর ভেঙ্গেছে আয়না
কঠিন হয়েছে জানা, হবে ভুলচুক।

রোজ, রোজ ডাক তোলে
ওগো কে আছে?
ঐ সে গোপনে সাজে
সাপের বাঁশীটি বাজে
চিনি, চিনি! দোলাচল পাকে পাকে নাচে।

হাতের আঙুল দূরে
ছোঁবেনা ও মুখ
চেনা-চেনা লাগে যদি
তখনই হঠাত্‌ নদী
"সাজানো বাগান", পরিমিত সুখ-দুখ্‌।

আমার এ ধ্রুবপদ
হিসেবী জীবন
টেনেছে লক্ষ্মণ-রেখা
ওপারে কি আছে দেখা
যাবোনা, যাবোনা ভাই, হঠাত্‌ কখন...

দুম্‌-দুম্‌ ঢাক বাজে
বুকের গহন
বিপদ বাড়ায় হাত
নামতেও পারে রাত
সীতাকে ছিনিয়ে নেবে দুরন্ত রাবণ!

অরুচি এ বনবাসে
পিছু হটি তবু
দশ মাথা, কুড়ি হাত
রাক্ষস রাজার জাত
স'বেনা আমার, এসো পরিচিত প্রভু।

পা বাড়াবার আগে
শাসনতো জারী
আগুন লঙ্কা দেশে
আমিও পুড়েছি শেষে
এখন অচীন পথে, অচেনা নারী।

-নূপুর

WANDERING AENGUS














I went out to the hazel wood,
Because a fire was in my head,
And cut and peeled a hazel wand,
And hooked a berry to a thread;
And when white moths were on the wing,
And moth-like stars were flickering out,
I dropped the berry in a stream
And caught a little silver trout.

When I had laid it on the floor
I went to blow the fire aflame,
But something rustled on the floor,
And someone called me by my name:
It had become a glimmering girl
With apple blossom in her hair
Who called me by my name and ran
And faded through the brightening air.

Though I am old with wandering
Through hollow lands and hilly lands,
I will find out where she has gone,
And kiss her lips and take her hands;
And walk among long dappled grass,
And pluck till time and times are done
The silver apples of the moon,
The golden apples of the sun.

-W. B. Yeats


পথহারা
আমি তখন বাদাম বনে দিশেহারা
মাথার মধ্যে আগুন দোলাচল
বাদাম গাছের একখানি ডাল নিয়ে
ডগায় ঝোলাই টুকটুকে কুঁচ ফল।
জোনাকিদের প্রদীপ জ্বলা সাঁঝে
মিটিমিটি ফুটলো যখন তারা
ছিপটি ছিলো নীল ঝর্ণার জলে
রূপোলী সেই মাছটি দিলো ধরা।
রেখে তারে পাশেই মাটির পর
ব্যস্ত যখন জ্বালতে আগুন খানি
শুনতে পেলাম নামটি ধরে মোর
ডাকলো কে যে? অস্ফূট সে বাণী!
রূপোলী মাছ নয়তো সে এক বালা
চুলে তাহার আপেল ফুলের কুঁড়ি
ডাকটি দিয়ে ত্রস্ত দুটি পায়ে
উজ্জ্বলতায় হারালো সুন্দরী।
আজও আমি খুঁজে বেড়াই তারে
পাহাড়ে আর পাহাড়তলীর পথে
জানি তারে পাবোই খুঁজে আমি
ওষ্ঠ চুমি হাতটি নেব হাতে।
হারিয়ে যাবো কাশের বনমাঝে

কাটবে সময় অসীম অবসরে
চাঁদ রূপোলী, রোদ সোনালী সেই
আপেলগুলি চয়ন অভিসারে।
- সোহম

বন্ধু কে

অবশেষে আজ শ্রাবনের ধারা
গাছের পাতায় নামল নূপুর পায়ে,
বন্ধু তোমার প্ত্রখানির বাণী
শুনতে পেলাম তারই মূর্ছনায়।

বৃষ্টি ভেজা শুভ্র বেলীর কুঁড়ি
ফুটেছে কি তোমার ছাদের কোনে
গন্ধে তাহার স্নিগ্ধ বিভাবরী
আমারই গান গাইছে সংগোপনে।

বন্ধু তোমার নাই বা পেলেম দেখা
মনে মনে অদেখাকেই আঁকি,
যে মেঘ দিলো তোমার প্ত্রখানি
তারই হাতে পড়িয়ে দিলেম রাখী।
-সোহম

Tuesday, September 15, 2009

গ্ল্যাডিয়েটার

সবাই কি আজ আড়াল খুঁজি, আশেপাশে, দূরে
অথবা এক অসময়ের ব্যস্ত সমুদ্দুরে,
থমকে থাকা বাদলা দুপুর আনমনা খালবিল
প্রলয় যখন আসে তখন ওড়েনা গাংচিল।
স্তব্ধ, নিথর গাছের পাতা, ঘড়ির কাঁটাও স্থির
তখনই কি আড়াল খুঁজি নেহাত বেনামীর!

তারই মাঝে মিটিং এবং নতুন মাইল-স্টোন
মাসের শেষে চেকটি এলে রসিদ কাটে মন।
আগামী দিন পায়না জামিন, গ্ল্যাডিয়েটার ঘোড়া
সোপান হতে সোপান পেরোয় মত্ত, দিশেহারা।
শিরায়, শিরায় রক্ত ছোটে স্বপ্ন বহুদূরে
ডুব দিয়েছি অসময়ের ব্যস্ত সমুদ্দুরে।

মাথার ভিতর তীব্র আগুন, ঝড়ের পূর্বাভাষ
স্বরচিত জীবনবৃত্ত আনেকি সন্ত্রাস?
আচম্বিতে ছোবোল মারে সুরেলা রিং-টোন
আবার কোনো পাওনাদারের শীতল আগ্রাসন!
সোনালী ধান, রূপালী মেঘ এসব কথার কথা
বাস্তবে সে এক সন্ধ্যার মিলন বিলাসিতা।
আড়াল ভাঙ্গার মূকাভিনয়, আত্মপ্রবঞ্চনা
আয়না বলে, গ্ল্যাডিয়েটার... সময় হাতে গোনা।

তবে কেন আড়াল খুঁজি অমোঘ যদি জানিই
আয়নাতে আজ শুনি শুধু সেই অমরার বাণী
মেঘের বুকের ক্ষতের মাঝে তীক্ষ্ণ রূপালীকায়
সংকেতে আজ পাঠায় বুঝি মন্ত্রঃপূত টিকা
প্রলয় যখন শিয়রে আয় বজ্র তুলি হাতে
গ্ল্যাডিয়েটার, এবার লড়াই মনের আঙিনাতে।
-সোহম

জানা-বোঝা

জানা এবং না জানার
মধ্যে শুধু "না",
তারই পিছে লুকিয়ে থাকে
হাজার ভাবনা।

সব ভাবনা সাঙ্গ সেদিন
যখন হবে বোঝা,
জানার সাথে বুঝলে তারে
সফল তোমার খোঁজা।

-সোহম