Wednesday, October 14, 2009

জন্মদিন

আজ যখন সব দরোজা খোলা
তবুও কেন লুকিয়ে তারে দেখি?
উদাসিনী চশমা আড়াল তোলা
ক্লান্ত তাহার ভ্রমর দুটি আঁখি।

সুযোগ পেলেই নানান গল্প করি
প্রাত্যহিকের টুকিটাকি কথা,
তারই মাঝে এ ওর আঁচল ভরি
অপরশে ছুঁই দুজনার ব্যথা।

জন্মদিনে আসবেই ফোন জানি
রিং বাজলে তবুও কাঁপে মন
সোনার ধানে পূর্ণ তরীখানি
তবুও বাকি সে কোন উত্তরণ?

নেই তো কিছু এখনো না বলা
শোনার মাঝেও নেইতো কোনো ফাঁকি,
এ বছরে চুয়ান্নে পা ফেলা
অবুঝ আজও রাখি যে ধারবাকি!

-সোহম

Tuesday, October 13, 2009

সখ্য

চৈত্র মাসের সন্ধ্যা সেদিন
শ্রান্ত অবসন্ন,
বিষন্নতার খাদের ধারে তুমি তখন একা
কাঙাল মেঘটা অযাচিতেই এলো
বৃষ্টি হয়ে ভাসিয়ে নিতে
তোমার ব্যাকুলতা।

কার কাছে কি হারিয়েছিলে
খেলার ছলে হয়তো,
রিক্ত সে মুখ ঢেকেছিলে
অবিন্যস্ত কেশে
অপূর্ব এক দিব্য অমল আলোয়
আকাশ ছিল প্রতীক্ষাতে
সকল দহন শেষে।

তোমার সাথে মেঘের সে কোন
শর্তবিহীন সখ্য
সেসব কথা উহ্য বহুদিনই
আড়াল থেকে দেখে তোমার
ধ্বস্ত, দৈন্য দশা
আচম্বিতে ভাসালো সে
পলাতকার গ্লানি।

ওঠেনি চাঁদ, মেললে যখন আঁখি
শিয়রখানি ছিল তোমার
সেই কাঙালের কোলে,
সেদিনও ফের নীরব হেসে
বিদায় দিলে তারে
সমগ্র বন পুড়ছে তখন
অন্ধ দাবানলে।

-সোহম

Monday, October 5, 2009

মিলন সন্ধ্যা

তখন দুচোখ শঙ্কাহীন, বিশ্ব স্বপ্নময়
পঙ্খীরাজের ডানায় চেপে নিত্য দিগবিজয়।
তখন আকাশ স্বচ্ছ নীল, বিহান মুক্তাফল
পায়ের নিচে শিশির ভেজা মুখর দুর্বাদল।
সুচেতনা তখন তুমি ভোরের একটি মেঘ
অভ্র মাঝে শুভ্র আনন, নম্র নিরুদবেগ।
অনায়াসী মরাল গ্রীবার দৃপ্ত ভঙ্গিখানি
অবলীলায় সহজিয়া তোমারই চাহনি।
সেই চাহনি সংগোপনে দুলিয়ে যেতো বুক
না বলা সেই বাণীর মাঝে শঙ্কাসজল সুখ।
আমি তখন নিরবসর স্বপ্নছবি আঁকি
উদাসিনীর সুহাসিনী, নাব্য দুটি আঁখির।
সাজাই তারে, পরাই গলে স্বর্ণচাঁপার হার
কর্ণমূলে কুন্দকলি, ঝুমকো লতিকার।
সুচেতনা, তুমি এখন দূরতর দ্বীপ,
দারুচিনির নির্জনতায় হয়ত বা উদ্গ্রীব-
কেটেছে দিন আপনমনে স্বপন রচনায়
অজানিতে সন্ধ্যা নামে রাতুল দুটি পায়ে।
অস্তরাগের আলোতে আজ চাইনে অন্তরাল
সুচেতনা, এলো কি সেই দুরন্ত বিকাল?

-সোহম